MCJ BLOG

MCJ Blog is a public space for voicing youth's opinion on the wider issues of media , communication, cinema and journalism in English and Bengali. You are encouraged to email your blog in no more than 600 words to blog.mcj@cub.edu.bd together with your short bio and photograph.Published blogs are solely the author's opinion, and in no way they reflect MCJ's view.

বার্নিং-অন্তর্দহনের গল্প

Kazi Kamrun Nahar Tania

Lecturer
Department of Media, Communication and Journalism
MSS; University of Dhaka
BSS; University of Dhaka

Abstract:
লি চ্যাং ডং পরিচালিত বারনিং সিনেমাটি ২০১৮ শালে মুক্তি পেয়েছে। পুরো সিনেমা জুড়ে প্রকাশ পেয়েছে পরিচালকের মুনশীয়ানা। তিনি জেনো দর্শকের মন নিয়েই খেলতে চেয়েছেন, ছুড়ে দিয়েছেন নানান সূত্র। যার জের ধরেই নিজেদের মত করে উত্তর খুঁজে নেবে দর্শক। এই লেখায় সেই সূত্র গুল ধরে দর্শক কিভাবে সিনেমাটি নিয়ে ভাবতে পারেন তাই তুলে ধরা হয়েছে।

সমাজের শ্রেণী বৈষম্য নিয়ে সিনেমা খুঁজতে গেলে দেখা মিলবে অসংখ্য সিনেমার, সেটা যেকোন দেশেই হোক না কেন। এই বিভাজন নিয়ে দক্ষিন কোরিয়ার এক অনন্য সৃষ্টি বার্নিং। সিনেমাটি ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছে। এই সিনেমার মূল গল্প হারুকি মুরাকামির লেখা। পরিচালক লি চাং দং এর মুন্সিয়ানার ছাপ রয়েছে পুরো সিনেমা জুড়ে। চমৎকার ভাবে গল্পটি ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। নানারকম রূপকে ফুটে উঠেছে সমাজের শ্রেণী বৈষম্য।

সিনেমার কাহিনী এগিয়ে গেছে জং সু, হেই মি এবং বেনকে ঘিরে। জং সু (ইয়ু আ ইন) একজন লেখক হতে চায়। কিন্তু তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় নিজের চলাফেরার খরচ নিজেকেই জোগাড় করতে হয়। তাই সে ডেলিভারিম্যান হিসেবে একটি পার্ট টাইম জব করে। একদিন প্যাকেজ ডেলিভারি দিতে গিয়ে তার ছোটবেলার বন্ধু হেই মির (জন জং স) সাথে দেখা। দুই বন্ধু নিজেদের জীবন নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেই বিদায় নেয়। এদিকে, হেই মির মাথায় বিশাল ঋণের বোঝা। পরিবারের সাথেও যোগাযোগ বন্ধ। হেই মি নিজের মত করে জীবন যাপন করে। জীবন নিয়ে তার দর্শন অন্যরকম। মেয়েটার মধ্যে প্রচন্ড রকমের কঠিন জীবনীশক্তি আছে। যতদিন বাঁচবে প্রাণ খুলে বাঁচতে চায় সে। জং সুর সাথে দেখা হওয়ার পর সে জানায় সে আফ্রিকা ট্যুরে যাবে। কোরিয়ায় তার বিড়ালের দেখাশুনা করার কেউ নেই। অবশেষে এ দায়িত্ব পড়ে জং সু’র উপর। হেই মির আফ্রিকা ট্যুরে পরিচয় হয় বেনের (স্টিভেন ইউন) সাথে। বেন দেখতে সুদর্শন, সুপুরুষ, বড়লোক, জীবনে কোনকিছুর অভাব নেই। তার কাছে জীবনে কোন যুদ্ধ নেই, জীবন শুধু উপভোগ করার জিনিস। হেই মি কে এয়ারপোর্টে আনতে গেলে সেখানে জং সুর বেনের সাথে পরিচয়। জং সু যেন অকারণেই বেনের মধ্যে কি যেন একটা দেখতে পায়। হিংসা লাগে ওর। ও ভাবে হেই মি যেন কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে। এখান থেকেই গল্প ঘুরে যেতে থাকে ধীরে ধীরে। এই সাধারণ গল্পের সিনেমাকে অসাধারণ করে তোলার কৃতিত্ব এই সিনেমার সাথে জড়িত সকলের হলেও পরিচালক এবং অভিনেতা-অভিনেত্রীদের তুলনা হয় না বাকিদের সাথে। দৃশ্যমান ভূমিকা রেখেছেন ইয়ু আ ইন, জন জং স এবং স্টিভেন ইউন আর অদৃশ্যমান ভূমিকা রেখেছেন পরিচালক লি চাং দং। প্রধান চরিত্রে এই ৩ অভিনেতা, অভিনেত্রীর অভিনয় প্রশংসার দাবীদার। বিশেষ করে জন জং স অসাধারণ অভিনয় করেছেন হেই মি চরিত্রে। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণ অভিনেত্রীর প্রথম কাজ ‘বার্নিং’। অথচ অভিনয় দেখে বুঝার সাধ্য নেই যে জীবনে প্রথমবারের মত নিজেকে সে বড় পর্দার দর্শকের সামনে প্রকাশ করছে। তার পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা ছিল না এই অভিনয় জগৎ সম্পর্কে। প্রথম সিনেমাতে অভিনয় করেই বাজিমাত এই অভিনেত্রী। ইয়ু আ ইন জীবনযুদ্ধে লড়াই করা এক যুবক হিসেবে প্রশংসনীয় অভিনয় করেছেন। বরাবরই ভাল অভিনয় করে এই ৩৪ বছর বয়সী অভিনেতা। নিজেকে ভেঙ্গে চুড়ে দর্শকের সামনে তুলে ধরতে কোন দ্বিধাবোধ নেই এই অভিনেতার। পরিচালকের মতেও জং সু চরিত্রে ইয়ু আ ইনের চেয়ে ভাল কাজ কেউ করতে পারতেন না। এই সিনেমার আরেক মূল চরিত্র বেন হিসেবে অভিনয় করেছেন স্টিভেন ইউন। একজন সুদর্শন এবং ধনী যুবক হিসেবে নিজেকে ফুটিয়ে তুলেছেন চমৎকারভাবে। এই সিনেমায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে নিজের ঝুলিতে সহ অভিনেতা হিসেবে বাগিয়ে নিয়েছেন বেশ কয়েকটি পুরষ্কার।

পুরো সিনেমা জুড়েই পরিচালকের সৃজনশীলতা বিদ্যমান। তিনি খুব সযত্নে গল্পটি বলার চেষ্টা করেছেন। একদম সরাসরি সবকিছু তুলে ধরেন নি। ছোট ছোট ইশারা দিয়ে বাকিটা দর্শকের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। সিনেম্যাটোগ্রাফার হং কিয়ং পিয়ো তার দক্ষতা দেখিয়েছেন এই সিনেমার বিভিন্ন দৃশ্যে। একটি দৃশ্যে জন জং সু ট্যাঞ্জারিন খাওয়ার অভিনয় করছিলেন। সেই দৃশ্যের রং, ক্যামেরার কাজ এবং নায়িকার অভিনয় মিলে কেমন যেন একটা পরাবাস্তব পরিস্থিতির তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন পরিচালক। এছাড়া আরেকটি দৃশ্যে নায়িকা গোধূলি বেলায় প্রজাপতির মত নাচ করছিলেন। সেই দৃশ্যেও পরিচালক এবং সিনেম্যাটোগ্রাফার নিজেদের মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। এই সিনেমাতে পরিচালক অনেক কিছু রূপক হিসেবে প্রকাশ করেছেন। গ্রিনহাউজ গুলোকে একটা দেশের প্রোডাকশন সিস্টেম হিসেবে ধরা যায়। আর বেন হচ্ছে একটা শ্রেণী যাদের জন্য এই প্রোডাকশন সিস্টেম কাজ করে। যেহেতু বেনের জন্য এই প্রোডাকশন সিস্টেম, বেনের সখের কাছে এই গ্রিণহাউজের কোন দাম নেই। জং সু আর হেই মি’র জীবনে বেঁচে থাকার লড়াই দেখলে বেনের হাই উঠে। বেন যেন ওদের লড়াই দেখে মুচকি হাসে। বেনের কাছে জীবন যতটা সহজ জং সুর কাছে ঠিক ততটাই কঠিন। ছোটবেলায় জং সু’র বাবা ওর মায়ের যা জিনিসপত্র ছিল সব পুড়িয়ে ফেলার দায়িত্ব দেয় ওর উপর। সে নিজ হাতে মায়ের স্মৃতি গুলো পুড়িয়ে ফেলে। এরপর থেকে আগুন মানেই তার কাছে স্মৃতিকাতরতা। যেখানে আগুনে পোড়ানো মানে জং সু’র কাছে স্মৃতিকাতরতা এবং কষ্ট সেখানে বেনের কাছে আগুনে পোড়ানো একটা সখ। একজনের কষ্ট আরেকজনের কাছে সখ। আর এটাই সমাজে ধনী গরিবের শ্রেণী বিভাজন। বেন সিনেমার একটি দৃশ্যে বলে “আই এম হেয়ার। এই এম দেয়ার” নিজের একাধিক অস্তিত্বের কথা বলে। বেন হচ্ছে ধনী শ্রেণীর প্রতিনিধি, তার মত এমন মানুষ সারা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে আছে। একটি দৃশ্যে নায়িকা ট্যাঞ্জারিন খাওয়ার অভিনয় করে জং সু কে দেখায়। যা দেখে মনে হচ্ছিল আসলেই সে ট্যাঞ্জারিন ছিলে খাচ্ছে। হেই মি যখন কিনে খেতে পারে না তখন সে কল্পনা তে খায়। এবং জং সু কে বলে কখনো কিছু খেতে ইচ্ছে করলে এবং খাওয়ার উপায় না থাকলে এভাবে খেতে। এই সিনেমাতে সবাই কিছু না কিছুর জন্য ক্ষুধার্ত। কেউ জীবনকে উপভোগ করার ক্ষুধায় ক্ষুধার্ত, কেউ সমস্যাবিহীন জীবনের জন্য ক্ষুধার্ত আর বেনের ক্ষুধা বার বার নতুনকে পাওয়ার এবং তা শেষ করে আবার নতুন কিছু পাওয়ার।

জং সু কে বেন বলেছিল প্রত্যেক ২ মাস পর পর সে একটা করে অব্যবহৃত গ্রিনহাউজ পুড়ে ফেলে। তার কাছে মনে হয় এই গ্রিনহাইজ গুলোর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে এবং এগুলো মাথা উচু করে ওর পোড়ানোর অপেক্ষায় আছে। এবং আরো বলে এরপরের গ্রিনহাউজ টা হবে জং সু’র খুব কাছের। জং সু প্রতিনিয়ত তার এলাকার আসে পাশের গ্রিনহাউজ গুলো চেক করে। কিন্তু কোন গ্রিনহাউজ ই পোড়ানো হয় নি। এরপর হঠাৎ করেই হেই মি’র খোঁজ পাওয়া যায় না। জং সু বেনের সাথে দেখা করে। বেন জং সু’র সাথে এমনভাবে কথা বলে যেন হেই মি অতীতের কেউ। যার অস্তিত্ব বর্তমানে নেই। জং সু ওয়াশরুমে আলমারি তে ওর হেই মি কে দেয়া গোলাপি ঘড়ি টা পায়। সাথে আরো নানা ধরণের নারীদের গয়না। জং সু বুঝতে পারে বেন এবার কোন গ্রিনহাউজ পুড়িয়েছে। বেন কেন মেরেছে হেই মি কে? ২ টা কারণ হতে পারে। একটা হচ্ছে হেই মি’র প্রয়োজন ওর কাছে পরিত্যাক্ত গ্রিণহাউজের মত ফুরিয়ে গেছে। আরেকটা হতে পারে হেই মি’র জীবনীশক্তিতে বেনের হিংসা হচ্ছিল। আবার একসাথে ২ টা কারণও হতে পারে। হেই মি আফ্রিকা যাওয়ার আগে ওর বিড়াল বয়েল এর দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়ে যায় জং সু’র উপর। জং সু খাবার দিতে আসে কিন্তু কখনো বিড়ালটাকে দেখে না। হেই মি যেহেতু কল্পনায় অনেক কিছুই করে সেহেতু বয়েলকেও কল্পনার সৃষ্টি মনে হতে পারে। বয়েল এর অস্তিত্ব বুঝবেন যখন বেনের বিড়ালটা পার্কিং এ হারিয়ে যায় আর জং সু খুঁজে পায়। বেন বলেছিল সে এই বিড়ালটা রাস্তায় পেয়েছে। কিন্তু পরে বিড়ালটা হারিয়ে গেলে যখন কেউ খুঁজে পাচ্ছিল না তখন জং সু বয়েল বলে ডেকেছিল আর বিড়ালটাও তাকে পরিচিত ভেবে দৌড়ে আসে। শেষে জং সু বেনকে পুড়িয়ে মারে। জং সু’র বাবা ওর জীবন থেকে ওর মায়ের স্মৃতি গুলো সড়িয়ে দিয়েছিল, ফ্রয়েডের মতে মা ছেলেদের প্রথম ভালোবাসা সেই হিসেবে জং সুর প্রথম ভালোবাসাকে সড়িয়ে দিয়েছিল ওর বাবা। আর দ্বিতীয় ভালোবাসা হেই মি কে সড়িয়ে দিয়েছে বেন। জং সু এতে রেগে পাগলের মত হয়ে যায় এবং ওর বাবা যা করে তাই করে। বেনকে মেরে ফেলে ওর গাড়িটা পুড়িয়ে ফেলে। বেনের রক্ত মানে অস্তিত্ব জং সু’র গায়ে লেগে যায় বলে সেটাও পুরে ফেলে। জং সু কে পুরো সিনেমাতেই একটু ইম্যাচিউর হিসেবে দেখানো হয়েছে। শেষ সিনটাকে এভাবেও সাজানো যেতে পারে যেখানে জং সু তার জীবন নতুন করে শুরু করার জন্য আবার একদম বাচ্চাকালে ফিরে গেছে। যেভাবে একটি শিশু দুনিয়াতে আসে। এসব ছাড়াও আরো অনেক কিছুই পরিচালক নানা রূপক হিসেবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

এই সিনেমার অসঙ্গতি হিসেবে অনেকেই মনে করেন পরিচালকের সরাসরি গল্প না বলে যাওয়া। স্পষ্ট করে পরিচালক কিছুই বুঝিয়ে দেন নি তবে অনেক কিছুই ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং শেষ সিদ্ধান্ত ছেড়ে দিয়েছেন দর্শকের উপর। তবে সহজ অর্থে বার্নিং হচ্ছে জীবনের গল্প, জীবন যুদ্ধের গল্প কিংবা হারিয়ে যাওয়ার গল্প, কিংবা নিজেকে নতুন করে পাওয়ার গল্প। আসলে বার্নিং কিসের গল্প সেজন্য একজন দর্শকের সিনেমাটি দেখতে হবে, হয়ত সে খুঁজে পেতে পারে নতুন কোন দিক। তখন হয়ত বার্নিং হয়ে যাবে অন্য কিছুর গল্প।

Film as a Medium of Communication

Sheikh Atif Mahmood

TA (Teaching Assistant)
Department of Media, Communication and Journalism
Canadian University of Bangladesh

Abstract:
Communication is the process of articulating and interpreting meaning. And this can be done via several channels or media. As such a film can also be a medium of communication. In this article the reasons for which a film is a medium of communication is discussed.

Communication refers to the transfer of information from one source to another. For any communication to take place, at least a sender, a message and a recipient are necessary. There also needs to be a means by which the message would be sent to the receiver. That is the medium. In other words, medium is the technological or physical means by which a message is converted into a signal which is transmitted to the receiver via a channel.

Medium or media (plural) can be divided into three categories. Which are as follows:

  • 1. The Presentational Media – Voice, Expressions, Gestures etc. These mainly produce acts of communication.
  • 2. The Representational Media – Films, Books, Photographs etc. These mainly produce works of communication.
  • 3. The Mechanical Media – Television, Radio, Telephone etc. They mainly act as transmitters of the presentational and representational media.

Film is a representational medium of communication that holds a lot of potential. It can move the audience or influence their decisions and thoughts. Through films, film makers can raise awareness about loads of important issues and are also able to highlight important aspects of society. Another major advantage of film is its ability to reach the masses, simultaneously or sequentially over a period. Prints can be projected (transmitted if over television) repeatedly in a myriad of locations, each time transmitting the same message to new audiences. A film can send these messages by its form, narrative, cinematography, or sound.

Films can convey explicit and implicit meanings while holding high entertainment value. Often in films, the audience can find relatability in the characters, and it influences their thoughts and sometimes even helps change their perspectives on things to some extent. For example, the animated film, ‘Wall-E’ showed how the ignorance of human beings led to the ultimate demise of the planet. The film managed to be thoroughly entertaining through its story and characters and still managed to convey a very important message to its audience. The film, ‘Rehana Mariam Noor’ is also a very good example where the story of the average working-class women of Bangladesh is told. The film was able to paint a brutally honest picture of society and an inherently polluted culture in Bangladesh.

Films are communication media because they can send a message. It is said that a picture is worth a thousand words. Which means to say that films can send a message using their visuals and along with sound, lighting, narration etc. which are able to touch the audience and influence them on a deeper level than any other media. Films are a very important medium of communication and if change is to happen in society, then it must be reflected in mainstream cinema because talking about different characters within the parallel cinema or independent cinema, is like preaching to the already converted.